করোনার ধাক্কা কাটিয়ে এখনও ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি দেশের পর্যটন শিল্প। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বিশ্বব্যাপী চলমান মন্দার কারণে বিদেশি পর্যটক আসছে না খুব একটা। তবে তাদের আশা, সামনের দিনে ঘুরে দাঁড়াবে সম্ভাবনাময় এই খাত। এ জন্য বিদেশি পর্যটকদের জন্য ই-ভিসা চালু, রাস্তাঘাট ও বিমানবন্দরের সুযোগ সুবিধা বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
আর এ খাতকে এগিয়ে নিতে পর্যটকদের নিরাপত্তা ও ব্র্যান্ডিংয়ের ওপর জোর দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
পর্যটনের অপার সম্ভাবনার দেশ বাংলাদেশ। গড়ে উঠছে নতুন নতুন পর্যটন কেন্দ্র। ভূমিকা রাখছে দেশের অর্থনীতিতে। কক্সবাজারে পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত, সুন্দরবন, কুয়াকাটার মতো স্থানগুলো আকর্ষণ করছে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের। তবে করোনা মহামারির কারণে গেলো দুই বছরে ধস নামে এ খাতে।
গবেষণা সংস্থা বিআইডিএস এর তথ্য বলছে, করোনার কারণে পর্যটন খাতে ক্ষতির পরিমাণ ৬০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। কাজ হারিয়েছেন প্রায় দেড় লাখ মানুষ। সেই দুঃসময় কাটিয়ে ওঠার আগেই নতুন ধাক্কা হয়ে আসে ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ। ঘুরে দাঁড়াতে এখনও সংগ্রাম করছেন এ খাতের ব্যবসায়ীরা।
হিসাব বলছে, ২০১৯ সালে ৫০ লাখের বেশি বিদেশি পর্যটক এসেছিলেন দেশে। পরের দুই বছর তা প্রায় তলানিতে নেমে আসে। চলতি বছর যা ১০ লাখও ছাড়াইনি। পর্যটন খাতকে এগিয়ে নিতে বাংলাদেশকে ব্র্যান্ডিংয়ের তাগিদ দিয়েছেন ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাবেক সভাপতি ড. সন্তোষ কুমার দেব। একই ধরনের পরামর্শ দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষক রাফিউজ্জামান।
সংশ্লিষ্টদের প্রত্যাশা বাংলাদেশেও একসময় গড়ে উঠবে বিশ্বমানের পর্যটন শিল্প।